Description
উপাদান: এলাচ, দারুচিনি, কাঁচা হলুদ, আদা, সোনাপাতা, বীর্যমনি, পিংক সল্ট সহ বেশ কিছু ভেষজ উপাদান |
খাওয়ার নিয়ম: সকালেও রাতে খাওয়ার পরে একটি করে ট্যাবলেট |
উপকারিতা: অতিরিক্ত মেদ ভুড়ি, ফ্যাট লিভার, মাত্রা অতিরিক্ত ওজন ও মোটা শরীর কমিয়ে স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা করে |
সাইন্স ল্যাব টেস্ট ডকুমেন্ট

প্রত্যেকটি ভেষজ উপাদানের গুনাগুন ও উপকারিতা-
এলাচ-
এলাচ একটি সুগন্ধি মশলা, যা খাবারে স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।
- হজমশক্তি বৃদ্ধি: এলাচ হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজম কমাতে সাহায্য করে।
- মুখের স্বাস্থ্য: এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে, মাড়ির ইনফেকশন এবং মুখের ফোঁড়া সারাতে সহায়ক।
- শ্বাসকষ্ট উপশম: সর্দি, কাশি, ফুসফুসের সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে এলাচ কার্যকর।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এলাচ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
- কোলেস্টেরল কমায়: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- শরীর থেকে টক্সিন দূর করে: এলাচ শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে সহায়ক।
- ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য: এটি ব্রণ এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যায় উপকারী। এছাড়া শুষ্ক ও ঝরে পড়া চুলের সমস্যাতেও এলাচ উপকার দেয়।
দারুচিনি-
দারুচিনি একটি প্রাচীন মশলা, যা হাজার হাজার বছর ধরে এর ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: দারুচিনিতে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে ফ্রি-র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
- রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ: এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।
- প্রদাহ কমায়: দারুচিনিতে প্রদাহরোধী উপাদান রয়েছে, যা শরীরের ভেতরের জ্বালা-যন্ত্রণা এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি আর্থ্রাইটিসের মতো প্রদাহজনিত রোগে উপকারী।
- হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস: এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
- হজমশক্তি বাড়ায়: দারুচিনি হজমকারক এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বদহজম, পেটফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা কমে।
- বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি ও ওজন হ্রাস: এটি বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়ায় এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন হ্রাসে সাহায্য করে।
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: দারুচিনি জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বাড়াতে পারে এবং আলঝেইমার ও পারকিনসনের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য: এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমাতে এবং ত্বকের লালচে ভাব ও ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা হলুদ-
কাঁচা হলুদ একটি শক্তিশালী ঔষধি ভেষজ যা রান্না এবং চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি: হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন শক্তিশালী প্রদাহরোধী গুণ সম্পন্ন, যা শরীরের যেকোনো প্রদাহ কমাতে কার্যকর।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের ক্ষতি রোধ করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ব্রণ কমাতে এবং ক্ষত সারাতে হলুদ বহুল ব্যবহৃত হয়।
- হজম: এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাস, ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: কাঁচা হলুদ রক্তে শর্করার মাত্রা এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।
- রক্ত পরিষ্কারক: এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে রক্তকে পরিষ্কার রাখে।
আদা-
আদা একটি পরিচিত মশলা এবং ভেষজ ঔষধ, যা এর তীক্ষ্ণ স্বাদ ও ঔষধি গুণের জন্য বিখ্যাত।
- বমি বমি ভাব দূর করে: আদা বমি বমি ভাব এবং মোশন সিকনেস কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।
- হজমশক্তি বৃদ্ধি: এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, গ্যাস, বদহজম এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে।
- প্রদাহ ও ব্যথা কমায়: আদা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ সম্পন্ন, যা পেশী ব্যথা, মাইগ্রেন এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- সর্দি-কাশি ও ফ্লু: এটি সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং ফ্লু-এর লক্ষণগুলি উপশম করতে সহায়ক।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: এটি সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
সোনাপাতা (Senna)-
সোনাপাতা মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ওজন কমানোর জন্য ব্যবহৃত একটি ভেষজ।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: সোনাপাতা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি শক্ত পায়খানা নরম করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে।
- ওজন কমাতে সহায়ক: এটি অন্ত্রের বাড়তি বর্জ্য পরিষ্কার করে এবং মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- রক্ত পরিশোধক: সোনাপাতা রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
- ডিটক্সিফিকেশন: এটি শরীরের ভেতরের আবর্জনা পরিষ্কার করতে এবং ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
- অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-আলসার: এটি অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-আলসার হিসেবেও কাজ করে।
সতর্কতা: সোনাপাতা অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয় এবং অন্ত্রের কোনো রোগ থাকলে (যেমন – অন্ত্রের প্রদাহ, আলসার, অ্যাপেন্ডিসাইটিস) এটি ব্যবহার করা যাবে না। সপ্তাহে দুই দিনের বেশি সেবন করা উচিত নয়।
বীর্য মণি (Birjo Moni / Mishridana)-
বীর্য মণি একটি ভেষজ উপাদান যা পুরুষদের স্বাস্থ্য এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
- পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য: এটি দ্রুত বীর্যপাত রোধ করতে, লিঙ্গ শৈথিল্য এবং ধাতু দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
- শুক্রাণু বৃদ্ধি: বীর্য মণিকে শুক্রাণু ঘন করতে এবং শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে মনে করা হয়।
- শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি: এটি শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং সামগ্রিক শক্তি ও স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করে।
- স্নায়ুবিক দুর্বলতা: এটি স্নায়ুবিক দুর্বলতা দূর করতেও কার্যকর।
- হৃদরোগ প্রতিরোধ: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বীর্য মূল হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।
পিংক সল্ট (Himalayan Pink Salt)-
পিংক সল্ট বা হিমালয়ান পিংক সল্ট একটি প্রাকৃতিক লবণ, যা সাধারণ লবণের চেয়ে বেশি খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ।
- খনিজ সমৃদ্ধ: এতে প্রায় ৮৪টিরও বেশি প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান রয়েছে, যেমন – ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি।
- হজমশক্তি উন্নত করে: পিংক সল্ট পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা বদহজম কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- ডিটক্সিফিকেশন: এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
- ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য: পিংক সল্ট শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।
- হাড়ের স্বাস্থ্য: এতে থাকা খনিজ উপাদান হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ: এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- স্ট্রেস ও বিষণ্নতা কমানো: পিংক সল্ট স্ট্রেস এবং বিষণ্নতা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
ত্বকের যত্ন: এটি ত্বকের যত্নেও উপকারী।







Reviews
There are no reviews yet.