Description
উপাদান: চিরতা কালো মেঘ কাঁচা হলুদ নিম পেয়ারা পাতা বড়ই পাতা ইত্যাদি |
খাওয়ার নিয়ম: প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পরে আধা গ্লাস পানির সাথে আধা চামচ পাউডার / সকালে ও রাতে খাওয়ার পরে একটি করে বড়ি সেবন করুন |
উপকারিতা: চর্মরোগ, খোস পাচড়া, চুলকানি, কোড এলার্জির, রক্ত জনিত এলার্জি, দাউদ, একজিমা দূর করার জন্য কার্যকরী একটি আদর্শ ভেষজ খাবার |
সাইন্স ল্যাব টেস্ট ডকুমেন্ট

প্রত্যেকটি ভেষজ উপাদানের গুনাগুন ও উপকারিতা-
চিরতা
চিরতা একটি তিক্ত রসযুক্ত ভেষজ, যা প্রধানত এর ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত।
- জ্বর কমায়: চিরতা জ্বরের জন্য খুব উপকারী, বিশেষ করে ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড জ্বরে এর ব্যবহার প্রচলিত। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- রক্ত পরিষ্কার করে: চিরতাকে রক্ত পরিশোধক হিসেবে ধরা হয়। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের সমস্যা যেমন – ব্রণ, ফুসকুড়ি সারাতে সহায়ক।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: চিরতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- লিভারের স্বাস্থ্য: এটি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- হজমশক্তি বাড়ায়: এর তিক্ত স্বাদ হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে এবং ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।
- কৃমি দূর করে: পেটের কৃমি দূর করতেও চিরতা কার্যকর।
কালো মেঘ
কালো মেঘও একটি তীব্র তিক্ত স্বাদের ভেষজ, যা এর ঔষধি গুণের জন্য বহুল পরিচিত।
- জ্বর ও সর্দি-কাশি: কালো মেঘ জ্বর, সর্দি, কাশি এবং ফ্লু-এর মতো সাধারণ অসুস্থতা মোকাবিলায় অত্যন্ত কার্যকর। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ গলা ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে, যা বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- লিভার সুরক্ষা: কালো মেঘ লিভারকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে রক্ষা করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। জন্ডিস এবং অন্যান্য লিভার-সম্পর্কিত সমস্যায় এটি উপকারী।
- হজমশক্তি: এর তিক্ত গুণ হজমে সহায়তা করে এবং অরুচি দূর করে।
- অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কালো মেঘের অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে, যদিও এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদ কেবল রান্নার উপাদান নয়, এটি একটি শক্তিশালী ঔষধি ভেষজ।
- অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি: হলুদের প্রধান সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যা শরীরের যেকোনো প্রদাহ কমাতে কার্যকর। এটি আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগের জন্য উপকারী।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ফ্রি-র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং কোষের ক্ষয় রোধ করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়।
- ত্বকের স্বাস্থ্য: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ব্রণ কমাতে, এবং ক্ষত সারাতে হলুদ বহুল ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
- হজম: হলুদ হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাস, ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
- ব্যথা উপশম: এটি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।
নিম
নিম একটি অলৌকিক ভেষজ গাছ, যার প্রায় প্রতিটি অংশই ঔষধি গুণ সম্পন্ন।
- অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল: নিম শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যা ত্বকের সংক্রমণ, ব্রণ, একজিমা, এবং দাদ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর।
- রক্ত পরিষ্কার করে: নিম রক্ত পরিশোধক হিসেবে কাজ করে, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং রক্তকে পরিষ্কার রাখে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: নিম পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য: নিমের ডাল বা পাতা দাঁত ও মাড়ির সমস্যা যেমন – মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, মুখের দুর্গন্ধ, এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে সহায়ক।
- কৃমি দূর করে: নিমের তিক্ত রস পেটের কৃমি দূর করতে কার্যকর।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: নিম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পেয়ারা পাতা
পেয়ারা ফল যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর পাতাও ঔষধি গুণে ভরপুর।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: পেয়ারা পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে খাবার পর রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এটি সহায়ক।
- হজমশক্তি: পেয়ারা পাতা ডায়রিয়া, আমাশয় এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত কার্যকর। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পেটের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
- ওজন কমাতে সহায়ক: এটি কার্বোহাইড্রেটকে সুগারে রূপান্তরে বাধা দিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: এটি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে।
- ঠান্ডা ও কাশি: পেয়ারা পাতার চা ঠান্ডা, কাশি এবং গলা ব্যথায় উপশম দেয়।
- ত্বকের স্বাস্থ্য: এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং ব্রণ সারাতে সাহায্য করে।
বরই পাতা (কুল পাতা)
বরই ফল যেমন উপকারী, তেমনি এর পাতাও বিভিন্ন ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ।
- ত্বকের প্রদাহ ও চুলকানি: বরই পাতা ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ, চুলকানি, এবং র্যাশ কমাতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ সম্পন্ন।
- চুল ও মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য: ঐতিহ্যগতভাবে, বরই পাতা চুল পড়া কমাতে এবং মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে ব্যবহৃত হয়। এটি খুশকি এবং মাথার ত্বকের অন্যান্য সমস্যা মোকাবিলায় সহায়ক।
- ঘুমের উন্নতি: কিছু লোক বিশ্বাস করেন যে বরই পাতা ঘুম উন্নত করতে সাহায্য করে, কারণ এটি মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
- রক্ত পরিষ্কার করে: এটি রক্ত পরিষ্কার করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি: বরই পাতা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।



Reviews
There are no reviews yet.