মেথি মিক্স

650.00৳ 

উপাদান: মেথি, জোয়ান, সোনা পাতা, কালোজিরা, ত্রিফলা, বিট লবণ ইত্যাদি |

খাওয়ার নিয়ম: আদা চা চামচ পরিমাণ আদা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর| এছাড়া অধিক পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কুসুম গরম পানিতে মিশে সেবন করলে গ্যাস কমে যাবে|

উপকারিতা: সাধারণ গ্যাস, পুরাতন গ্যাস, বদহজম,  কোষ্ঠকাঠিন্য,গলা বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি রোগের জন্য অধিক কার্যকরী একটি ভেষজ খাবার |

Description

উপাদান: মেথি, জোয়ান, সোনা পাতা, কালোজিরা, ত্রিফলা, বিট লবণ ইত্যাদি |

খাওয়ার নিয়ম: আদা চা চামচ পরিমাণ আদা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর| এছাড়া অধিক পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কুসুম গরম পানিতে মিশে সেবন করলে গ্যাস কমে যাবে|

উপকারিতা: সাধারণ গ্যাস, পুরাতন গ্যাস, বদহজম,  কোষ্ঠকাঠিন্য,গলা বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি রোগের জন্য অধিক কার্যকরী একটি ভেষজ খাবার |

সাইন্স ল্যাব টেস্ট ডকুমেন্ট

ভেষজ উপাদান গুলোর উপকারিতা-

মেথি

মেথি একটি পরিচিত মশলা, যা খাবারে স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।

  • হজমশক্তি উন্নত করে: মেথি হজমের সমস্যা, যেমন – পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং তলপেটে প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত মেথি খেলে উপকার পান।
  • কোলেস্টেরল কমায়: এটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে: মেথির ফাইবার পেট ভরা রাখে, ফলে অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমে। এটি বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে চর্বি পোড়াতেও সাহায্য করে।
  • স্তন্যপান করানো মায়েদের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি: স্তন্যপান করানো মায়েদের জন্য এটি দুধ উৎপাদনে সহায়ক।
  • মাসিকের ব্যথা উপশম: মাসিক চলাকালীন পেটের ব্যথা কমাতে মেথি কার্যকর।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: মেথিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

জোয়ান

জোয়ানও একটি পরিচিত মশলা যা এর ঔষধি গুণের জন্য বিখ্যাত।

  • হজম সমস্যা দূর করে: জোয়ান হজমশক্তি বাড়াতে, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম এবং পেট ব্যথা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। এতে ফাইবার ও ল্যাক্সাটাইভস থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • সর্দি-কাশি উপশম: জোয়ানে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে। বুকে জমা কফ দূর করতেও এটি উপকারী।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
  • ওজন কমাতে সহায়ক: জোয়ান মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
  • ব্যথা উপশম: জোয়ানে থাকা থিমল তেল ব্যথা কমাতে কার্যকর, বিশেষ করে গাঁটের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসে এটি উপকার দেয়।
  • কিডনির পাথর দূরীকরণে সাহায্য: বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনির পাথর দূর করতে জোয়ান সাহায্য করতে পারে।

সোনাপাতা

সোনাপাতা মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ওজন কমানোর জন্য ব্যবহৃত একটি ভেষজ।

  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: সোনাপাতা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি শক্ত পায়খানা নরম করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে।
  • ওজন কমাতে সহায়ক: এটি অন্ত্রের বাড়তি বর্জ্য পরিষ্কার করে এবং মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • রক্ত পরিশোধক: সোনাপাতা রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
  • ডিটক্সিফিকেশন: এটি শরীরের ভেতরের আবর্জনা পরিষ্কার করতে এবং ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-আলসার: এটি অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-আলসার হিসেবেও কাজ করে।

সতর্কতা: সোনাপাতা অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয় এবং অন্ত্রের কোনো রোগ থাকলে (যেমন – অন্ত্রের প্রদাহ, আলসার) এটি ব্যবহার করা যাবে না।

কালোজিরা

কালোজিরাকে “মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ” বলা হয়। এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে।

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে।
  • হজমশক্তি ও লিভারের জন্য উপকারী: এটি হজমশক্তি বাড়ায়, পেটের গ্যাস দূর করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: নিয়মিত কালোজিরা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা: এটি হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • চুল ও ত্বকের যত্নে: কালোজিরা চুল পড়া কমাতে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর।
  • ব্যথা ও প্রদাহ কমায়: এতে শক্তিশালী প্রদাহ-নাশক উপাদান থাকে, যা শরীরের ফোলাভাব এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • শ্বাসযন্ত্রের জন্য উপকারী: সর্দি-কাশি, জ্বর এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় এটি উপকারী।

ত্রিফলা

ত্রিফলা আয়ুর্বেদের একটি পরিচিত ঔষধ যা আমলকি, হরিতকি এবং বহেড়া এই তিনটি ফলের মিশ্রণে তৈরি হয়।

  • হজমশক্তি উন্নত করে: ত্রিফলা হজম প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে, অন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • ডিটক্সিফিকেশন: এটি শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে এবং লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে টক্সিন দূর করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ত্রিফলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ক্ষতিকারক ফ্রি-র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে।
  • ওজন কমাতে সহায়ক: ত্রিফলা মেটাবলিজমের হার ঠিক রেখে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
  • দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য: দাঁতের হলদে ছোপ দূর করা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করা, মুখের দুর্গন্ধ দূর করা এবং দাঁত ও মাড়ি শক্ত করতে ত্রিফলা কার্যকর।
  • শ্বাসকষ্টের উপশম: এটি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় বিশেষ কার্যকরী।

বিট লবণ (কালো লবণ)

বিট লবণ সাধারণ লবণের তুলনায় কম সোডিয়ামযুক্ত এবং এর নিজস্ব কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

  • হজমশক্তি বাড়ায়: এটি বদহজম, অ্যাসিডিটি, বমি বমি ভাব এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ওজন কমাতে সহায়ক: বিট লবণ শরীরের কোষগুলোতে সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করে এবং মেদ নিয়ন্ত্রণে রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • শারীরিক দুর্বলতা দূর করে: এটি শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল: বিট লবণে থাকা খনিজগুলো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে, যা শরীরে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়।
  • হাড়ের স্বাস্থ্য: এতে পুষ্টি এবং খনিজ উপাদান থাকায় এটি হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগীরা সাদা লবণের পরিবর্তে বিট লবণ ব্যবহার করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা পেতে পারেন।

 

1 review for মেথি মিক্স

  1. abdullah

    Mash-allah

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *